মালবেরি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত কাঁঠাল জ্যাক অফ অল ফ্রুট নামে পরিচিত। কাঁঠালের বাইরের আবরণটি শক্ত ও কন্টকাবৃত হলেও ভেতরে থাকে হলুদ, সুমিষ্ট ও রসালো কোষ। ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় জলবায়ুতে কাঁঠাল চাষ হয়। সাধারণত দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াতে পাওয়া যায়। কিন্তু পূর্ব আফ্রিকা ও ব্রাজিলেও পাওয়া যায় কাঁঠাল। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সবচেয়ে বেশি কাঁঠাল উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ।
কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খাওয়া হয় এবং এর স্বাদ ভেড়ার মাংসের মত। কাঁঠালের বীজ সিদ্ধ করে বা ভেজে স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া হয়। পাকা কাঁঠালের কোয়াতে প্রচুর আঁশ থাকে। সুস্বাদু ও মিষ্টি কাঁঠাল বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। কাঁঠাল ভিটামিন, মিনারেল, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ইলেক্ট্রোলাইটস, ফাইবার, ফ্যাট ও প্রোটিনে ভরপুর। স্বাস্থ্যকর এই ফলে কোন ফ্যাট থাকেনা কিন্তু উচ্চমাত্রার এনার্জি থাকে। কাঁঠালের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কাঁঠাল শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় সাহায্য করে। ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে শ্বেত রক্ত কণিকার কাজে সহযোগিতা করার মাধ্যমে। এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভালো একটি পরিমাণ শরীরে সরবরাহ করে এক কাপ কাঁঠাল।
২। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়
ভিটামিন সি এর পাশাপাশি লিগনেন্স, আইসোফ্ল্যাভোনেন্স ও সেপোনিন্স নামক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এ সমৃদ্ধ কাঁঠাল। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলোর মধ্যে ক্যান্সাররোধী ও বয়সরোধী উপাদান আছে। এগুলো শরীর থেকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেল দূর করতে সাহায্য করে এবং কোষের ক্ষয়কে ধীর গতির করে।
৩। হজমে সহায়তা করে
কাঁঠালে আলসাররোধী উপাদান থাকে বলে হজমের সমস্যা ও আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে। উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং পেটের বর্জ্য নিষ্কাশনে সাহায্য করে। এই ফাইবার বৃহদান্ত্রের কার্সিনোজেনিক রাসায়নিক অপসারণ করে কোলনের মিউকাস পর্দাকে সুরক্ষা প্রদান করে।
৪। চোখ এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে
কাঁঠালে ভিটামিন এ থাকে যা চোখ এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে। রাতকানা ও মেকুলার ডিজেনারেসন এর মত দৃষ্টিশক্তি সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫। এনার্জি বৃদ্ধি করে
কাঁঠালকে শক্তি প্রদানকারী খাদ্য হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ কাঁঠালে সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজের মত সাধারণ চিনি উপস্থিত থাকে যা খুব দ্রুত আপনার এনার্জি বৃদ্ধি করবে। কাঁঠালে কোন সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকেনা বলে এটি সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর ফল।
৬। উচ্চ রক্তচাপ কমায়
কাঁঠালে পটাসিয়াম থাকে বলে রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে এবং এজন্যই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৭। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করে
কাঁঠালের মূল হাঁপানি রোগীদের উপসর্গ কমতে সাহায্য করে। এর মূল পানিতে ফুটিয়ে নিলে যে নির্যাস তৈরি হয় তা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
৮। হাড় শক্ত করে
কাঁঠাল ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ, এটি এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা ক্যালসিয়ামের শোষণে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি ক্যালসিয়ামের সাথে কাজ করে হাড়কে শক্তিশালী করে ও অষ্টিওপোরোসিস এর মত রোগ প্রতিরোধ করে।
৯। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে
কাঁঠালে আয়রন থাকে বলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরে সঠিকভাবে রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে।
১০। থাইরয়েডকে সুস্থ রাখে
কপার থাইরয়েড মেটাবলিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিশেষ করে হরমোন তৈরি ও শোষণে। কাঁঠাল এই গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোমিনারেলে ভরপুর।
কাঁঠালের বীজ ঠান্ডা দুধে কয়েক মিনিট ভিজিয়ে রেখে চূর্ণ করে মুখের বলিরেখার উপর দিলে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বলিরেখা দূর হবে। ভালো ফল পেতে নিয়মিত ব্যবহার করুন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিশ্ছিদ্র ত্বক পেতে চাইলে এই মিশ্রণটির সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কাঁঠালের বীচি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য।
How to Play Casino: Easy Guide to playing slots on
উত্তরমুছুনCasino games are played by 4 players, the novcasino average time 바카라사이트 they งานออนไลน์ take worrione turns is https://tricktactoe.com/ around 14:20. The house is divided into three distinct categories: the house