Bangla name: ডেওয়া
English name: Lakoocha
Botanic name: Artocarpus lakoocha
Family name: Moraceae
অরুচি ও পেটের বায়ুনাশে ডেউয়া এক অমৃত ফল। পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। কাঁচা ডেউয়া টক, ক্ষুধা দূর করে। পাকা ফল ক্ষুধাবর্ধক হয়। আবার পাকা ডেউয়া পিত্ত ও যকৃতের উপকারী। ডেউয়া বেশি খেলে ক্লীবতা আনে।
বাংলা নাম ডেলো মাদার, ডেফল, ডেঁওফল, ডেহুয়া, ডেওয়া চাম, বার্তা, দালো ও ডেউয়া। শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট বড় গাছ। পাতা : বড়, গোল, ৬-১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৪-৭ ইঞ্চি চওড়া, খসখসে। বৃন্ত : লম্বা। ফুল : দুই রকম_ স্ত্রী ও পুরুষ। ফল : কাঁচা অবস্থায় লালচে, পাকা অবস্থায় পীত রঙ।
পঞ্চবটী বনে থাকে অশ্বত্থ, বট, বেল, অশোক ও আমলকী গাছ। প্রতিটি গাছ উপকারী, গুণেরও শেষ নেই। কিন্তু ওই শাল, পিয়াল, তমাল, কাঁঠাল, আম, চন্দন, চাঁপা, খদির, পলাশ প্রভৃতি গাছের মাঝে ডেউয়া না থাকলে বনের পূর্ণতা পায় না। সমাজে ধোপা, নাপিত, মেথর না থাকলে চলে না, পৃথিবীও অচল হয়ে যাবে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে এ জন্য হিজলের পাশে ডুমুর আর ডেউয়ার স্থান থাকা চাই। আম, কাঁঠাল, তাল, জাম, আমলকীর পাশে এ জন্য ডেউয়া বা গাবের স্থান হয়।
ডেউয়ার ভদ্র নাম হলো ডেলো মাদার। পাড়াগাঁয়ে একে বলে ডেউয়া, পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। ডেউয়া শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট বড় গাছ। বড় বড় পাতা। গোল-গোল, ৬-১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৪-৭ ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতা খসখসে, দেখতে অনেকটা কাকডুমুরের পাতার মতো। কাকডুমুরের পাতা থেকে ডেউয়ার পাতা বড়। পাতার বৃন্ত লম্বা, আধ ইঞ্চি থেকে এক ইঞ্চি লম্বা। ফুল দুই রকম। স্ত্রী ও পুরুষ আলাদা আলাদা।
স্ত্রীফুল আকারে বড়, বোঁটা ছোট ও মসৃণ। কিন্তু ফুলের পাপড়ি নেই, ছোট গুটির আকারে হয়। মঞ্জরিদ-ের ওপর ফুল সাজানো থাকে। স্ত্রী-জাতীয় ফুল থেকেই ফল হয়। ফলের বাইরের আবরণ অসমান এবড়ো-খেবড়ো। ফল কাঁচা অবস্থায় লালচে, পাকলে বাইরের রঙ পীত, কিন্তু ভিতরের শাঁস লাল হয়। কাঁঠালের কোয়ার মতো এবং তার মাঝে বীজও থাকে।
সাধারণত ফাল্গুন মাসে ফুল হয়, আষাঢ়ে পাকতে শুরু করে। পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। কাঁচা ডেউয়া টক, ক্ষুধা দূর করে। পাকা ফল ক্ষুধাবর্ধক হয়। আবার পাকা ডেউয়া পিত্ত ও যকৃতের উপকারী। আবার বেশি খেলে ক্লীবতা আনে। অরুচি ও পেটের বায়ুনাশে ডেউয়া এক অমৃত ফল। ব্রণের দূষিত ক্ষতের পুঁজ বের করে আনার জন্য ডেউয়ার ছালের পুলটিসের ব্যবহার হয়। কাঁচা ডেউয়ার রস এক-দেড় চা-চামচ এক কাপ ঠা-া পানিতে মিশিয়ে কয়েক দিন খেলে অস্বাভাবিক মেদ কমে। তবে মেদ কমাতে গেলে আলু, চিনি বা মিষ্টি খাওয়া না কমালে কিছুতে কিছু হবে না।
English name: Lakoocha
Botanic name: Artocarpus lakoocha
Family name: Moraceae
অরুচি ও পেটের বায়ুনাশে ডেউয়া এক অমৃত ফল। পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। কাঁচা ডেউয়া টক, ক্ষুধা দূর করে। পাকা ফল ক্ষুধাবর্ধক হয়। আবার পাকা ডেউয়া পিত্ত ও যকৃতের উপকারী। ডেউয়া বেশি খেলে ক্লীবতা আনে।
বাংলা নাম ডেলো মাদার, ডেফল, ডেঁওফল, ডেহুয়া, ডেওয়া চাম, বার্তা, দালো ও ডেউয়া। শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট বড় গাছ। পাতা : বড়, গোল, ৬-১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৪-৭ ইঞ্চি চওড়া, খসখসে। বৃন্ত : লম্বা। ফুল : দুই রকম_ স্ত্রী ও পুরুষ। ফল : কাঁচা অবস্থায় লালচে, পাকা অবস্থায় পীত রঙ।
পঞ্চবটী বনে থাকে অশ্বত্থ, বট, বেল, অশোক ও আমলকী গাছ। প্রতিটি গাছ উপকারী, গুণেরও শেষ নেই। কিন্তু ওই শাল, পিয়াল, তমাল, কাঁঠাল, আম, চন্দন, চাঁপা, খদির, পলাশ প্রভৃতি গাছের মাঝে ডেউয়া না থাকলে বনের পূর্ণতা পায় না। সমাজে ধোপা, নাপিত, মেথর না থাকলে চলে না, পৃথিবীও অচল হয়ে যাবে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে এ জন্য হিজলের পাশে ডুমুর আর ডেউয়ার স্থান থাকা চাই। আম, কাঁঠাল, তাল, জাম, আমলকীর পাশে এ জন্য ডেউয়া বা গাবের স্থান হয়।
ডেউয়ার ভদ্র নাম হলো ডেলো মাদার। পাড়াগাঁয়ে একে বলে ডেউয়া, পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। ডেউয়া শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট বড় গাছ। বড় বড় পাতা। গোল-গোল, ৬-১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৪-৭ ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতা খসখসে, দেখতে অনেকটা কাকডুমুরের পাতার মতো। কাকডুমুরের পাতা থেকে ডেউয়ার পাতা বড়। পাতার বৃন্ত লম্বা, আধ ইঞ্চি থেকে এক ইঞ্চি লম্বা। ফুল দুই রকম। স্ত্রী ও পুরুষ আলাদা আলাদা।
স্ত্রীফুল আকারে বড়, বোঁটা ছোট ও মসৃণ। কিন্তু ফুলের পাপড়ি নেই, ছোট গুটির আকারে হয়। মঞ্জরিদ-ের ওপর ফুল সাজানো থাকে। স্ত্রী-জাতীয় ফুল থেকেই ফল হয়। ফলের বাইরের আবরণ অসমান এবড়ো-খেবড়ো। ফল কাঁচা অবস্থায় লালচে, পাকলে বাইরের রঙ পীত, কিন্তু ভিতরের শাঁস লাল হয়। কাঁঠালের কোয়ার মতো এবং তার মাঝে বীজও থাকে।
সাধারণত ফাল্গুন মাসে ফুল হয়, আষাঢ়ে পাকতে শুরু করে। পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। কাঁচা ডেউয়া টক, ক্ষুধা দূর করে। পাকা ফল ক্ষুধাবর্ধক হয়। আবার পাকা ডেউয়া পিত্ত ও যকৃতের উপকারী। আবার বেশি খেলে ক্লীবতা আনে। অরুচি ও পেটের বায়ুনাশে ডেউয়া এক অমৃত ফল। ব্রণের দূষিত ক্ষতের পুঁজ বের করে আনার জন্য ডেউয়ার ছালের পুলটিসের ব্যবহার হয়। কাঁচা ডেউয়ার রস এক-দেড় চা-চামচ এক কাপ ঠা-া পানিতে মিশিয়ে কয়েক দিন খেলে অস্বাভাবিক মেদ কমে। তবে মেদ কমাতে গেলে আলু, চিনি বা মিষ্টি খাওয়া না কমালে কিছুতে কিছু হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন