বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬

বাংলাদেশের ফলঃ করমচা

করমচা, টক জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ফলের নাম। এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারিসা ক্যারোন্ডাম। ইংরেজিতে একে Bengal currant বা Christ's thorn বলা হয়। Carissa গণভুক্ত কাঁটাময় গুল্মজাতীয় করমচা উদ্ভিদটি এশিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে পাওয়া যায়। কাঁচা ফল সবুজ, পরিণত অবস্থায় যা ম্যাজেন্টা লাল-রং ধারন করে। অত্যন্ত টক স্বাদের এই ফলটি খাওয়া যায়, যদিও এর গাছ বিষাক্ত। করমচার ঝোপ দেখতে সুন্দর। টক স্বাদের ফল করমচা। কাঁটায় ভরা এ গাছটি গ্রাম থেকে এখন শহরেও চাষ হয়। কারও কারও বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দায়ও দেখা মেলে করমচার। করমচা পুষ্টিগুণে যেমন সমৃদ্ধ। কাঁটাযুক্ত গুল্মজাতীয় এ উদ্ভিদটি প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মে। তবে এটা চাষও করা সম্ভব। ঝোঁপের মতো বলে গ্রামাঞ্চলে এই গাছ বাড়ির সীমানায় বেড়া হিসেবে লাগানো হয়। তেমনি আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় আছে শর্করা-১৪ গ্রাম, প্রোটিন-০.৫ গ্রাম, ভিটামিন এ-৪০ আইইউ, ভিটামিন সি- ৩৮ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লেভিন-০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন-০.২ মিলিগ্রাম, আয়রন-১.৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম-১৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম-২৬০ মিলিগ্রাম, কপার-০.২ মিলিগ্রাম। তবে যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাঁদের করমচা না খাওয়াই ভালো। এই মৌসুমে তাজা করমচা খান নিয়মিত, অনেক রোগ এড়ানো যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, বাজারে প্যাকেটে করে চেরির নামে কৃত্রিম রং দেওয়া করমচা বিক্রি হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। কেনার সময় তাই সতর্ক থাকতে হবে।
 করমচায় চর্বি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে না।
 ভিটামিন সি-তে ভরপুর করমচা মুখে রুচি ফিরিয়ে দেয়।
 করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।
 শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে।
 যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধে আছে বিশেষ ভূমিকা।
 মৌসুমি সর্দি-জ্বর, কাশিতে করমচা খান বেশি করে।
 করমচা কখনো কৃমিনাশক হিসেবে ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
 এ ছাড়া পেটের নানা অসুখের দাওয়াই করমচা।
 শরীরের ক্লান্তি দূর করে করমচা শরীরকে চাঙা রাখে।
 বাতরোগ কিংবা ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী।
 করমচাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী।
 এটি ত্বক ভালো রাখে ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
 এতে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন